ব্রিকস সম্মেলনে ইরানের ‘গর্জন’, জানাল সংঘাতে নিহতের সংখ্যা

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:২০

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। 

তিনি বলেছেন, এই হামলা শুধু ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেনি, বরং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মার্কিন-ইসরায়েলি যৌথ হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত বা আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, পরমাণু স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।

আব্বাস আরাগচি দাবি করেন, ইরানের বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২২৩১-এর আওতায় এসব স্থাপনা আন্তর্জাতিক সুরক্ষার অন্তর্ভুক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, গাজা ও দখলকৃত আরব ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে দৃষ্টি সরাতেই তেহরানের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনে ইসরায়েল দায়মুক্তির সংস্কৃতি বজায় রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক জবাবদিহি বাধাগ্রস্ত করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমার জনগণ তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় অবিচল ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। প্রতিরোধের মাধ্যমেই এই হামলা থেমে গেছে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশটি সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।

বিশ্ব সম্প্রদায় ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরাগচি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন রক্ষায় এবং দায়মুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।’

তিনি শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্রিকস সদস্যদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।