ধর্মের ভেদ নেই যে গির্জায়

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:১৬

যাযাদি ডেস্ক

 

আলবেনীয়দের মাঝে মহামারি বা দুর্যোগে আধ্যাত্মিক শক্তির কাছে সান্ত্বনা খোঁজার প্রচলন রয়েছে। করোনায় তাদের সবাইকে গির্জায় জড়ো হতে দেখা গেছে। আলবেনিয়ার উত্তর-পশ্চিমের লাক শহরের সেন্ট এন্থনি গির্জা এটি।

 

মহামারির সময়ে মুসলিম, খ্রিস্টান কিংবা ধর্মে বিশ্বাসী নয় এমন অনেকেই ভিড় করেছেন এখানে। করোনসহ নানা বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন তাদের। নানা ঢংয়ে ঈশ্বরের কাছে সান্ত্বনা চান পূণ্যার্থীরা। কেউ জ্বালান মোমবাতির আলো আর কেউ রেখে যান রোগাক্রান্ত সন্তানের জামা কিংবা প্রিয়জনের ছবি। উদ্দেশ্যে, জাগতিক সব শোক, জরা কাটিয়ে ফিরে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা।

 

তবে বিভিন্ন ধর্মের, বিশ্বাসের কিংবা বর্ণের আলবেনিয়ানদের এভাবে জড়ো হওয়াকে একটু আলাদা চোখে দেখছেন দেশটির টিরানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী আফেরদিতা ওনুজি। তার মতে, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে সবার ঈশ্বর এক। অর্থাৎ ভেদাভেদ না রেখে সবাই একটি জায়গায় এক হয়েছেন। করোনায় অজানা আর অক্ষমতার ভয় থেকে মুক্তি পেতেই এখানে এসেছেন তারা।

 

এমন মানুষের সংখ্যা ইদানিং এখানে বেড়েছে জানিয়ে এ নৃবিজ্ঞানী বলেন, ঐশ্বরিক শক্তিতে মানুষের বিশ্বাসের ছবি এটি।

 

শুধু রোগমুক্তি নয়, দৈনন্দিন জীবনের বিশেষ করে দুর্যোগের সময়ের মানসিক চাপ লাঘবে জড়ো হচ্ছেন কেউ কেউ। আদা দ্রাভা নামে ২০ বছরের এক তরুণী প্রথমবারের মতো এখানে এসছেন। ‘মানসিক চাপ লাঘবের জন্য এখানে এসেছি। সেই সাথে পরিবারের সদস্যদের জন্য শান্তি কামনা আমার।’

 

শুধু রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরাই নয়, রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষদেরও দেখা যায় এখানে। করোনা থেকে সেরে উঠা অনেকেই প্রার্থনা করতে আসেন এ চার্চে, জানালেন পাদ্রী মিরাশ ইভানজা।

 

বলকান রাষ্ট্র আলবেনিয়া প্রায় ৫০ বছর কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে ছিল। সে সময় ধর্মকর্মে অনেকটা নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে গত ৩০ বছরে অর্থাৎ কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পর ধীরে ধীরে দেশটিতে ধর্ম চর্চার প্রচলন বাড়ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

যাযাদি/এমএস/১২:১২