কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো মুলধারা তাবলিগ জামাতের মিনি এস্তেমা

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩০

ইউনুছ আলী আনন্দ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

 

কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত মুলধারা তাবলিগ জামাতের মিনি বিশ্বএস্তেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার দুপুরে শেষ হয়েছে।

 

দুপুর ১২ টা ৮ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মার্কাজ কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা মনির বীন ইউসুফ। মোনাজাত শেষ হয়েছে ১২ টা ৩২ মিনিটে।

 

প্রায় ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাতে সারা বিশে^র শান্তি কামিয়াবী কামনা করা হয়। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যা ভালো কাজ করেছেন সেই ভালো কাজের তৌফিকদান ও যেসব কাজ তিনি পরিহার করেছেন সেসব কাজ থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহর কাছে তৌফিক কামনা করা হয়।

 

এছাড়াও দ্বীনের তাবলিগের কাজ সারা বিশে^ বেশি থেকে বেশি চলমান থাকার কামনাও করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে শরীক হওয়ার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে লাখো লাখো মানুষ ছুটে আসে এস্তেমা ময়দান ও তার আশ-পাশ এলাকায়। লাখো মানুষের আমিন আমিন মুখরিত হয়েছে এস্তেমা ময়দানটি।

 

জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি শুক্রবার কুড়িগ্রাম শহরের জেলা কারাগার সংলগ্ন মাঠে ফজরবাদ আম বয়ানের মধ্য দিয়ে মুলধারা তাবলিগ জামাতের এই মিনি বিশ্বএস্তেমা শুরু হয়।

 

৩ দিনের এ এস্তেমায় বয়ান পেশ করেন তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মার্কাজ কাকরাইল মসজিদের সাথী শায়খুল হাদিস মাওলানা জিয়াবীন কাসেম, মুফতি ওসামা, মুফতি ফয়সালসহ আরও অনেকে।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাসহ ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসলমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ও বিদেশি তাবলিগের সাথীরা এস্তেমায় শরীক হয়েছে। এস্তেমায় শরীক হয়ে এস্তেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার এক চিল্লার সাথী মারা যান।

 

এ মিনি বিশ্বএস্তোমা সফল করতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেন। ফলে কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবেই মিনি বিশ্বএস্তোমাটি সফল হয়।

 

ফুলবাড়ী উপজেলা তাবলীগের জিম্মাদার সাথী আব্দুল জলিলন বিএসসি ও ডাঃ মমিনুল ইসলাম জানান, ৩ দিনের এস্তেমা থেকে এক ও তিন চিল্লার ৩১ জামাত আল্লার রাস্তায় বের হয়েছে।

 

যাযাদি/এস