শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আল্লাহর গুণাবলি জানা ইবাদত

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ মে ২০২২, ১২:১০

কোরআন হাদিসে আল্লাহর যেসব গুণাবলির বর্ণনা এসেছে সে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা আবশ্যক। কেননা এসব গুণের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে, আল্লাহর ক্ষমতা, রাজত্ব প্রভুত্ব সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে সাহায্য করে।

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ বিষয়ক জ্ঞানগুলো আল্লাহ ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ক জ্ঞানের উৎস। আর আল্লাহর নামগুলো সম্পর্কে জানা এবং তা আয়ত্ত করা আল্লাহ বিষয়ক জ্ঞানগুলোর মূল।

সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর নামগুলো যথাযথভাবে আয়ত্ত করল সে যাবতীয় জ্ঞান অর্জন করল। (বাদায়িউল ফাওয়ায়িদ : /২৮৭)

আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে মুমিন আল্লাহর অনুরূপ বিশ্বাস পোষণ করবে এবং সে অনুসারে তার জীবন পরিচালনা করবে। আল্লামা ইজ ইবনে আবদুস সালাম (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহর (গুণবাচক) নামগুলোর অর্থ জানার মাধ্যমে বান্দা তার ফলাফল অনুসারে আমল করবে। যার মধ্যে আছে আশা ভয়, শঙ্কা ভালোবাসা, আল্লাহর প্রতি আস্থা বিশ্বাস ইত্যাদি। ’ (সাজারাতুল মাআরিফি ওয়াল আহওয়াল, পৃষ্ঠা ৬৭) প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর গুণাবলি তথা গুণবাচক নামগুলো মুমিনের ঈমানকে পূর্ণতা দান করে। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নামগুলো তার অর্থ জানল এবং তার ওপর ঈমান আনল, তার ঈমান সেই ব্যক্তির ঈমানের তুলনায় পূর্ণ যে নামগুলো জানে না। ’ (মাজমুউল ফাতাওয়া: /২৩৩)

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত আল্লাহর গুণবাচক নাম তথা গুণাবলি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করাকে ইবাদত বলে বিশ্বাস করেন। কেননা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর জন্য আছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকবে। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৮০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর ৯৯টি নাম আছে। যে তা আয়ত্ত করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৭৩৬)

শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন, আল্লাহর নাম আয়ত্ত করার অর্থ হলো নামগুলোর শব্দ অর্থ মুখস্থ করা, এগুলোর দাবি অনুসারে ইবাদত করা এবং এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। (আল-কাউলুল মুফিদ : /৩১৪)

যাযাদি / এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে