আপনারা কেন নিজেদের সংখ্যালঘু বলেন? এদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৩

যাযাদি ডেস্ক

আপনারা কেন নিজেদের দুর্বল মনে করেন। যারা এই দেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন সবাই এই মাটির সন্তান। এদেশে তারা নাগরিক হিসেবে তাদের সব ধরণের অধিকার রয়েছে। তাই আপনারা সব অধিকার নিয়েই এদেশে বসবাস করবেন। হিন্দুদের সংখ্যালঘু মনে না করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন- আপনার কেন নিজেদের সংখ্যালঘু বলেন? এদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই।

গত বৃহস্পতিবার ৭ই সেপ্টেম্বর গণবভনে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সনাতন সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সোনার বাংলাদেশ গঠনে ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত এই রকম একজন মাতৃ সমতুল্য রাষ্ট্রনায়ক পেয়ে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকল প্রয়োজনের কথা সব সময় চিন্তা করেন, কোন কিছুই তার অজ্ঞাত নয়।

সমগ্র সনাতনীদের পক্ষে সভাপতি বলেন- আগামীতে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান যাতে জন্মাষ্টমীর এক সপ্তাহ পূর্বে আয়োজন করার কথা বলেন। এছাড়া প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে মডেল মন্দির ও শারদীয় দূর্গাৎসবে নুন্যতম আরো দুইদিন ছুটি বর্ধিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

গতকাল জন্মাষ্টমীর ৫দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সমাপনীর প্রাক্কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে   বার হাজার সনাতনী প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে গণভবনে সুন্দর, সুশৃঙ্খল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সারা বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব, অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সমগ্র প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআইডি মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক এমপি, ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি- জে.এল.ভৌমিক, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি সুব্রত পাল, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন সভাপতি মনীন্দ্র দেবনাথ, ইসকন বাংলাদেশ সেক্রেটারী চারুচন্দ্র বহ্মচারী, জন্মাষ্টমী কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক- প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রীবর্গ, রাষ্ট্রীয় অতিথিবৃন্দ, সনাতনি নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও মহাত্মা মহারাজবৃন্দ।

মঞ্চে সভাপতি সুকুমার চৌধুরীকে মননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একান্ত আলাপে কি বলেছেন জানতে চাইলে উনি বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রতিটি মন্দিরে দশ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিচ্ছি। এরপরও প্রতিটি জেলায় মডেল মন্দির নির্মাণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয় রূপরেখা দেওয়ার জন্য বলেন।

যাযাদি/এসএস