হজ নিবন্ধনে সাড়া মিলছে কম, কোটা পূরণ নিয়ে শঙ্কা
প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৮
২০২৪ সালে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ১৫ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করলেও তেমন একটা সাড়া মিলছে না। গত ১৩ দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৮২৪ জন। ফলে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২৭ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত ১৩ দিনে হজের জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ২৯৬ জন আর বেসরকারি পর্যায়ে ৫২৮ জন। গত বছর নিবন্ধন শুরুর প্রথম ২১ দিনেই ৩৩ হাজার ৭৮ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। সেবার ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলে। তবে দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও ৫ হাজার আসন শূন্য ছিল।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) নেতারা বলছেন, গত বছর ৯ দফা সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা যায়নি। এবারও সেই অবস্থা হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এ জন্য হজের খরচ বেড়ে যাওয়া, ডলার ও রিয়ালের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়াকে দায়ী করছেন তারা। একইসঙ্গে, সৌদি সরকার ওমরাহ প্রক্রিয়া সহজ করায় অনেকে হজের পরিবর্তে ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন। আর করোনার সময় যেসব হাজি আটকে ছিলেন তারাও গত দুই বছরের হজ করে ফেলেছেন। ফলে কাক্সিক্ষত সাড়া মিলছে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমসকে বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়েছিল। এবার সাড়ে তিন মাস আগে ১৫ নভেম্বর থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এজন্য হয়ত প্রথমে সাড়া কম মিলছে। যারা হজে যেতে চান তারা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গতবারের তুলনায় এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার আসন বেশি নিবন্ধন করার সুযোগ থাকছে।
এবার সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হাব। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
যাযাদি/ এস