জুমাবারের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি আমল

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪

যাযাদি ডেস্ক

শাবান মাসের অর্ধেক প্রায় শেষ। ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে পালিত হবে শবে বরাত। এই রাতে ইবাদনের মাধ্যম মুসলিমরা রমজানকে স্বাগত জানানোর চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিবে। কয়েকদিন পরই শুরু হবে কুরআন নাজিলের মাস রমাদান। 

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি। ফজিলতের কারণে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পার’ (সূরা জুমুআ, আয়াত : ৯)।

রাসূল (সা.) বলেন, ‘দিবসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত’ (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)। 

হাদিসে জুমার দিনের সতেরোটি সুন্নাত পাওয়া উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
১. গোসল করা, (বুখারি)। 
২. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ : ১০৯৮)। 
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (ইবনে মাজাহ : ১০৯৭,)। 
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮০)। 
৫. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারি : ৯১০)। 
৬. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারি : ৯১১)। 
৭. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ : ৮৬২)। 
৮. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারি : ৯৩০)। 
৯. গায়ে তেল ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮৩)। 
১০. হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম : ১৪০০)। 
১১. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা, (বুখারি : ৮৫৩)। 
১২. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ : ১১১৯)। 
১৩. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ : ১১১০, ইবনে মাজাহ : ১১৩৪)। 
১৪. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ : ১১০৮)। 
১৫. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তেলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে (আবু দাউদ : ১৩৩২)। 
১৬. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কেউ কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতেও হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (আবু দাউদ : ১১১২)।
১৭. বেশি বেশি প্রার্থনা (দুআ) করা, (বুখারি : ৯৩৫)।

যাযাদি/ এস