ফিতরা কিভাবে পরিমাপ করা হয়?
প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:২৮

ইসলাম বিষয়ক লেখক এবং গবেষক শরীফ মুহাম্মদ বলছেন, যে পাঁচটি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় সেগুলো কথা ইসলামের নবী হাদিসে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশে একটা সময় ছিল যখন ফিতরা নির্ধারণ হতো পণ্যের সর্বনিম্ন মূল্যের ভিত্তিতে। কিন্তু ১৫ বছর যাবত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ফিতরার বিষয়টি নির্ধারণ করা হচ্ছে।
“সর্বনিম্ন মূল্য ধরে ফিতরা দিলেও সেটা আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু প্রতিটি ব্যক্তির উচিত হবে তার জন্য মানানসই এবং যৌক্তিক ফিতরা আদায় করা,” বলেন শরীফ মুহাম্মদ।
'যাকাত-আল-ফিতর' হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে খাদ্য দান করা হয়। এটি দান করতে হয় ঈদ-উল-ফিতর নামাজের আগে।'
ইসলামের বিধান মতে, প্রতিটি সচ্ছল মুসলিম ব্যক্তি, যার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আছে সেটির উপর ভিত্তি করে ফিতরা প্রদান বাধ্যতামূলক। এটি নিজের জন্য দেবার পাশাপাশি তার ওপর কেউ যদি নির্ভরশীল থাকে তাদের জন্যও দিতে হবে। যেমন – মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান।
একটি পরিবারের কর্তা বা অভিভাবক তাদের নিজের জন্য এবং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ফিতরা দেবেন। এটি ইসলামে বিধান।
আবু দাউদ-এর সংকলিত হাদিস গ্রন্থ সুন্নাহ ইবনে মাজাহ্ – তে বলা হয়েছে, "আল্লাহর বার্তাবাহক (ইসলামের নবী মুহাম্মদ) বলেছেন, জাকাত আল ফিতর রোজাদার ব্যক্তিকে যে কোনো ধরনের অশালীন কাজ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে এবং তাকে বিশুদ্ধ করে তোলে।"
ফিতরা নির্ণয়ের কিছু নিয়ম নির্ধারিত আছে ইসলাম ধর্মে।
একজন ব্যক্তি তার দুই হাতের তালু একত্রিত করে ধরার পর সেখানে যে পরিমাণ খাদ্য রাখা যাবে সেটি ফিতরা হিসেবে দিতে হবে। এই পরিমাণকে আর্থিক মূল্যে নির্ণয় বা পরিমাপ করা যাবে।
পরিমাপ করার জন্য ‘অর্ধ সা’ এবং ‘এক সা’ মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। একমাত্র গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং বাকি চারটি পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো ছিল প্রাচীন আরব পরিমাপের একক। পরবর্তীতে এটিকে কেজি ও গ্রামে রূপান্তর করা হয়েছে।
‘অর্ধ সা’ বলতে ১ কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম এবং ‘এক সা’ বলতে ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বোঝানো হয়।
যাযাদি/ এস