বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনা থেকে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি কাশিমপুর কারাগারে

বরগুনা প্রতিনিধি
  ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৫৪

বরগুনা জেলা কারাগার থেকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাইক্রোবাস যোগে তাকে বরগুনা কারাগার থেকে কাশিমপুর নেয়া হয়। বরগুনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন আসামি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কারাগারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে মাইক্রো বাস যোগে বরগুনা কারাগার থেকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত।

মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা হয় ২৭ অক্টোবর । বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। এতে ছয়জনকে ১০বছর, চারজনকে ৫ বছর, একজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় শিশু আদালত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে