শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মামুনুল-ফয়জুল-বাবুনগরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্তে পিবিআই

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৩১

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, চরমোনাইপীর পুত্র সৈয়দ ফয়জুল করিম ও হেফাজত নেতা মোহাম্মাদ জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের পৃথক দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলা তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরোকে (পিবিআই)।

আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। অপর মামলার আবেদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার আজ বেলা সাড়ে ১১টায় আবেদনকারী বাদীদ্বয়ের জবানবন্দি শুনানি গ্রহণ শুরু করে বেলা আড়াইটায় পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। আইনজীবী মশিউর মালেকের মামলায় শুধু মামুনুল হক আসামি এবং অপর মামলায় তিনজনই আসামি।

মামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্ত্বর হবে।’ সমাবেশে যুব মজলিসের কর্মীদের এ জন্য প্রস্তুতও থাকতে বলেন তিনি।

বাদী অভিযোগ করেন, মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

মামলায় সৈয়দ ফয়জুল করিম সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর এ আসামি যাত্রাবাগীস্থ গেন্ডারিয়ায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে ‘অন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জিহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দিলে বন্ধ হবে না। রাশিয়াল লেলিনের ৭২ ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে শেখ সাহেবের মূর্তি আজকে হোক কালকে হোক তুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবেন’ বলে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

মামলায় বাবু নগরী সম্পর্কে বলা হয়, এ আসামি মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের পরামর্শে গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে বলেছেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কার্য থাকতে পারে না। ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সড়ে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন।’

মামলায় বলা হয়, আসামিদের উপরোক্ত বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাদের দেশে রায়টের পরস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলে প্রকারন্তরে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করেছেন। আসামিদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুব্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনের মধুদার ভাস্কর্য এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে।

যাযাদি/এমএস/৩:২৯

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে