শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৩৬

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।

 

রায়ে দুই আসামি সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। দুইজনই বর্তমানে পলাতক।

 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফারুক উজ্জামান ভূইয়া বলেন, ‘রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার বলি শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যা মামলার রায় আজ। আমরা এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া এ মামলার দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এসব কারণে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে আয়েশা হুমায়রা এশার অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এরপর একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করা হয়। অপরদিকে প্রেমিক বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক আছেন।

 

যাযাদি/এমএস/১০:৪০