এমসি কলেজে গণধর্ষণ : মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫২

যাযাদি ডেস্ক

 

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের মামলায় আদালতে বাদিপক্ষের সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

 

রোববার বেলা ১১টার দিকে আট আসামি আদালতে উপস্থিতিতে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মোহিতুল হকের আদালতে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

 

এই তথ্য নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, বাদিপক্ষের আইনজীবী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ছিনতাই মামলা এক‌ই আদালতে একসাথে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেন। বিচারক তা খারিজ করে আগামী তারিখে সাক্ষী হাজির করার নির্দেশ দেন।

 

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আজ ২৪ জানুয়ারি প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছিল আদালত।

 

গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপপরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এরপর গত ১৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার পুলিশ এজাহারভুক্ত মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করলে সব আসামির উপস্থিতেই মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

 

অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে আসামি করা হয়।

 

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। এদিন বাদির পক্ষে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করা হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী নগরের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

 

যাযাদি/ এমএস