ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে মতিউর রহমানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারভেজ হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন   

এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ‘কিশোর আলো’ সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওই বছরের ১ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা বদলি হয়ে আসে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন সুজন ও কামরুল হায়দার।

নাইমুল আবরাব নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলো অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরারে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

যাযাদি/ এমএস