সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৪ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:২৩

যাযাদি ডেস্ক

 

 

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের মূল ভবনের নকশা বহির্ভূত এবং অবৈধ উপায়ে দোকান বরাদ্দের কথা বলে অর্থ আত্মসাতে অভিযোগে হওয়া মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে।

 

প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত নতুন এই দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্ত মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

 

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

 

গতবছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর আদালত মামলাটির অভিযোগ তদন্ত করে ৩১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে দোকান বরাদ্দের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে ব্যবসায়ীরা সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ব্যবসায়ীরা কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদের কাছে যান। তাঁরা বলেন, 'টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আপনাদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে'।

 

মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, বিষয়টি আইনবহির্ভূত জেনে বাদী দেলোয়ার হোসেন দুলু আসামিদের দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে তৎপর হন। এরপর আসামিরা দেলোয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট আসামি ইউসুফ আলী সরদার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ বাদী দেলোয়ারকে বনানী ডেকে বলেন, দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করার প্রক্রিয়া বন্ধ করো, নইলে খুব খারাপ হবে। তবে তিনি নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে সাহস পাননি।

 

অভিযোগে বাদী আরো বলেন, 'আসামিরা বিনা রসিদে কোটি কোটি টাকা নেন। পরে তাঁর সঙ্গে পরামর্শের জন্য এলে তিনি তাঁদের প্রমাণ রাখার কথা বলেন। এরপর ভুক্তভোগীরা সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন।' সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর নকশাবহির্ভূত দোকান ভেঙে দিয়েছে ডিএসসিসি।

 

যাযাদি/এসএইচ