গাইবান্ধায় শিশু আরিফুল হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে ও সহোদর ভাইসহ ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৮

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিশু আরিফুল ইসলাম (১৩) হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে ও সহোদর ভাইসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

 

হত্যা মামলার দীর্ঘ আট বছর পর এক মাস পর বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামে গোলজার রহমান খন্দকার, সাহেব খন্দকার, হারুন খন্দকার, ফরিদুল ইসলাম খন্দকার ও জরিদুল ইসলাম খন্দকার। এরমধ্যে গোলজার খন্দকার ও সাহেব খন্দকার মৃত্যু মছির উদ্দিন খন্দকারের ছেলে। এছাড়া হারুন খন্দকার গোলজার রহমান খন্দকারের ছেলে এবং ফরিদুল ইসলাম খন্দকার ও জরিদুল ইসলাম খন্দকার সাহেব খন্দকারের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, আনোয়ারা বেগম ও হালিমা বেগম।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্টপক্ষের আইনজীবি মো. ফারুক আহাম্মেদ প্রিন্স জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামের বাকি মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলামকে (১৩) কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ গোলজার রহমান গংরা। পরে ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশু আরিফুলের। এ ঘটনায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী আরিফুলের নানা জালাল উদ্দিন বাদি হয়ে সাতজনকে আসামিকে করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালতে এ মামলায় স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে ৩১ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য করেন। নির্ধারিত ধার্য্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন (অমৃত) কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।

 

তিনি আরও জানান, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহাড়ায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

 

এদিকে, মামলার রায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশু আরিফুল ইসলামের স্বজনরা। আদালতে উপস্থিত আরিফুল ইসলামের বাবা বাকি মিয়া বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই তার শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘ আট বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আদেশে ন্যায় বিচার পেয়েছি’।