বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মামুনুল হকের তৃতীয় বিয়ের খবর ফাঁস

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৮

এবার হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ‘তৃতীয় বিয়ে’র খবরও ফাঁস হলো। প্রথম বিয়ের কথা পরিবার ও তার দলের নেতাদের জানা থাকলেও তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ের কথা জানতেন না কেউ। এমনকি জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের নারীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে আদৌ আইনসম্মত ভাবে হয়েছে কিনা, তা নিয়ে রহস্যও এখনও কাটেনি। শুধু তাই নয়, মামুনুল বিয়ে না করেই ঝর্ণার ব্যয়ভার বহনের বিনিময়ে তার সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশা করতেন এবং ঝর্ণাকে সে কাজে বাধ্য করতেন, তাও এক পর্যায়ে ফাঁস হয়। এসব কথা জানা যায়, ঝর্ণার তিনটি ডাইরি থেকে, যা সামনে আনে ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান।

এরই মধ্যে শনিবার রাতে গণমাধ্যমে খবর আসে, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মামুনুলের ‘তৃতীয় প্রেমিকা’র সন্ধান পেয়েছে। এবার সেই ‘তৃতীয় প্রেমিকা’কে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করলেন মামুমুল হক। এই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা। গত ১০ এপ্রিল ওই নারীর ভাই শাহজাহানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে মামুনুল বলেন, তিনি লিপিকে বিয়ে করেছেন। এ সংক্রান্ত চুক্তিনামা রয়েছে। ২০২০ সালে এই তৃতীয় নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে এ সম্পর্কেও কেউ জানতেন না। রবিবার (১১ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর থানায় বোনের সন্ধানে আইনগত সহযোগিতা চেয়ে জিডি করেছেন ছোটভাই মো. শাহজাহান। জিডির কপি থেকেই এসব তথ্য জানা যায়। জিডিতে বোনের সঙ্গে গত ৭ এপ্রিল থেকে দেখা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

এদিকে লিপির সঙ্গে মামুনুলের বিয়ে সংক্রান্ত চুক্তিনামা থাকলেও এটা কাবিন নামা নয় বলে জানিছেন শাহজাহান। জানতে চাইলে শাজাহান সাজু বলেন, ‘মামুনুল বিয়ে সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন। তবে এটি কাবিননামা নয়।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করার সময় এই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মামুনুল হকের। ওই পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। ওই নারীর ডিভোর্স হয় আড়াই বছর আগে । এরপর ওই নারীকে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার ক্ষেত্রে মামুনুল হক ভূমিকা রেখেছেন। ওই নারীকে ডিভোর্স করিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখেন। ওই বাসায় মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন মামুনুল হক।

জানা গেছে, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর এই নারীকে মামুনুল হক তার বড় বোন দিলরুবার মোহাম্মদপুরের বাসায় রেখেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে এই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান আত্মীয়-স্বজনরা।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন মামুনুল হক। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে জান্নাত আরাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। যদিও এর সপক্ষে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মামুনুল হক তৃতীয় বিয়ের দাবি করলেন।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে