লকডাউনে কাজ না থাকায় অনেকে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২১, ১৭:১০

যাযাদি ডেস্ক

 

লকডাউনে কাজ না থাকায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে বেশ কয়েকটি চক্র। লকডাউনের সুযোগে স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় তৎপর হয়ে উঠেছে কর্মহীন অনেকে। রাজধানীতে ডাকাতিতে জড়িত তিনটি চক্র রয়েছে। দুটি চক্রকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরলেও আর একটি চক্রের সন্ধান কাজ করছে তারা। মিরপুর বেড়িবাঁধে একটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য পায় পুলিশ।

 

শনিবার (১০ জুলাই) বিকালে মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ জেড এম তৈমুর রহমান।

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ৬ জুলাই রাতে শাহআলী থানাধীন চিড়িয়াখানা লেকের দক্ষিণে এইচ ব্লক এর সামনে  মুরগি বোঝাই একটি পিক-আপ ভ্যান আটকে মুরগি বোঝাই পিক-আপ নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জুলাই কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া বাজার এলাকা থেকে তা উদ্ধার করা হয়। এসময় ডাকাতিতে জড়িত হৃদয়, সোহেল রানা এবং রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির ঘটনার ব্যবহৃত একটি পিক-আপ জব্দ করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিক-আপ, একটি মোবাইল ফোন নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।  পিক-আপ এর মালিক ও চালক রায়হান এরই মধ্যে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

 

তৈমুর রহমান আরও বলেন, ‘লকডাউনকে কেন্দ্র করে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেকোনও ধরনের অপতৎপরতা প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। লকডাউন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’

 

রাতে বেড়িবাঁধ এলাকাটি অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। লকডাউনকে কেন্দ্র করে রাতেও আমাদের চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দারুসসালাম জোনের সিনিয়র পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান, শাহ আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত মেহেদী হাসান।

 

যাযাদি/এসআই