শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহা হত্যা মামলায় ২য় স্বাক্ষ্য গ্রহণ

জাবেদ আবেদীন শাহীন, কক্সবাজার প্রতিনিধি
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৩

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মামলার ৩ নং সাক্ষীর টেকনাফের মিনা বাজারের কাজি ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ স্বাক্ষ্যগ্রহণ টানা চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিনে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।

এদিকে দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারী ছিল পর্য়াপ্ত । ্দ্বিতীয় দফায় রোববার সকালে ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে। এরপর আদালতে আসে আসামিপক্ষের আইনজীবীগণ।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, সাক্ষী প্রদানের জন্য ৫ সাক্ষী আদালতে হাজির হয়েছে। রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে যারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফের মিনা বাজারের কাজি ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, টেকনাফের শামলাপুরের ডা মৃত ফজল করিমের ছেলে আবদুল হামিদ, শামলাপুরের নুরুল ইসলামের ছেলে মো ইউনুস এবং শামলাপুরের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফিরোজ আহমদ।

তিনি আরো জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত ১৫ জনকে সমন জারি করেছিলেন। প্রথম দফায় মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিটের ৭ থেকে ১০ নম্বর সাক্ষী, ৭ সেপ্টেম্বর ১১ থেকে ১৩ নম্বর সাক্ষী এবং ৮ সেপ্টেম্বর ১৪ নম্বর সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকার জন্য সমন জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে। এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো খায়রুল ইসলাম।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। মামলায় কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলো, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো শাহজাহান, কনস্টেবল মো রাজীব ও মো আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে