গাংনীর চাঞ্চল্যকর খোকন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন, ৬ জন বেকসুর

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ২০:০৪

গাংনী প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইটভাটা ব্যবসায়ী রেজাউল হক খোকন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে  ১২ আসামীর ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড  দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস এ রায় প্রদান করেন। আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাংনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভিটাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইটভাটা মালিক রেজাউল হক ওরফে খোকন কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে একটি মেহুগনি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব-৬ এর গাংনী ক্যাম্পের একটি টীম। নিহত রেজাউল হকের  স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ২০ নভেম্বর ১২ জনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৪। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা  র‌্যাব-৬ এর এসআই বকুল হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার বাদী তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৬জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পর্যবেক্ষণ এবং বাদী বিবাদীর আইনজীবীদের যুক্তিকতক্ক চুর চেরা বিশ্লেষণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং অন্য ৬ জনকে বেকসুর প্রদান করা হয়।

 

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-গাংনীর থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাস (৪০), কুষ্টিয়ার দৌলাতপুর উপজেলা হোসেনাবাদ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান (ওরফে রিপন) (৩৭), হিজলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৫),গাংনীর পল্লী বিদ্যুৎ পাড়ার আজগর আলীর ছেলে আব্দুল কাদের(৪০), বাশবাড়িয়া গ্রামের ফইমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল জাব্বার(৪২) ও হোসেন আলী। এদের মধ্যে হোসেন আলী পলাতক রয়েছে।

 

অপর ৬ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমানীত না হওয়ায় বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন-আড়পাড়া গ্রামের আব্দুর মান্নানের ছেলে আক্তারুজ্জামান ওরফে বাবু,জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দীনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম,আড়পাড়ার গ্রামের লালচাঁদের ছেলে মজনু মিয়া,মালশাদাহ গ্রামের ইউসুব আলীর ছেলে আবুল কালাম,হাড়িয়াদাহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা মিয়া ও শানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ এর ছেলে শান্ত। স্বাক্ষ্যগ্রহনের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত রায় প্রদান করেন।

 

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কামরুল ইসলাম ও মিয়াজান আলী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(অতিরিক্ত পিপি) ছিলেন কাজি শহিদুল ইসলাম।

 

যাযাদি/ এস