অবৈধ সম্পদ অর্জন: এসকে সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৩ এপ্রিল

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:০২

যাযাদি ডেস্ক

 

 

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত 

 

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত নতুন দিন ধার্য করেন দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল তবে দুদক প্রতিবেদন দাখিল করেনি এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন 

 

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা- মামলাটি করেন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে নিজের ভাই আত্মীয়ের নামে কোটি ১৪ লাখ টাকা সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান এরপর তিনি প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান পর্যায়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর /) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান বরাদ্দপ্রাপ্তির পর সিনহা প্লটটি তাঁর আত্মীয় জনৈক শংখজিৎ সিংহকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ করেন

 

অনুসন্ধানে নথিপত্রে দুদক তথ্য-প্রমাণ পায় যে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই উত্তরার ওই প্লটের অনুকূলে রাজউকে মোট ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন পরে তাঁর তত্ত্বাবধানেই ওই প্লটে নয়তলা ভবন নির্মাণ হয় ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় কোটি ৩১ লাখ হাজার ৮৬৫ টাকা নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করে দুদক

 

দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজউকের প্লটের মূল্য ৭৫ লাখ টাকা ভবনের নির্মাণে ব্যয় কোটি ৩১ লাখ হাজার ৮৬৫ টাকাসহ সব মিলিয়ে কোটি লাখ হাজার ৮৬৫ টাকা ব্যয় হয় এর মধ্যে জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নেওয়া হয় এই টাকা বাদে অবশিষ্ট কোটি ৩৬ লাখ হাজার ৮৬৫ টাকা এবং আত্মীয় শংখজিৎ সিংহের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী নগদে ৭৮ লাখ টাকা জমা পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়

 

মামলায় দুদকের অভিযোগ, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট কোটি ১৪ লাখ হাজার ৮৬৫ টাকা সম্পদ অর্জন করে ভাই আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর হস্তান্তর করেন সম্পদ অর্জনের বৈধ কোনো উৎস নেই এবং তা তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অপরাধে দুদকের ২০০৪এর ২৭ () ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের () ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২এর (), () ধারায় মামলা করে দুদক

 

যাযাদি/এসএইচ