যশোরের চৌগাছায় চাঞ্চল্যকর শিশু শর্মীলা ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-২ এর বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) নীলুফার শিরিন এই দণ্ড ঘোষণা করেন। মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত তজিবর রহমান (৫০) যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিলধলা রামকৃষ্ণপুর এলাকার দবির উদ্দিন দরবার আলীর ছেলে। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শর্মীলা খাতুন (৯) চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে ও হাকিমপুর নূরানী মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল’র স্পেশাল পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুন সন্ধ্যায় চৗগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে শর্মীলা খাতুন প্রতিবেশি তৈমুর হোসেন খান’র আম বাগানে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পার হয়ে রাতেও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোজাখুজি করেন।
২৬ জুন সন্ধ্যায় তারা জানতে পারেন যে, পাশেই হামিকপুর গ্রামের জামান মৃধা’র আম বাগানে একটি পচাগলা মৃতদেহ পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে তারা পচাগলা মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে হাসপাতালে শর্মীলা খাতুনের পরিহিত লাল ঘটি হাফ প্যান্ট, হাত এবং পায়ের পাতা দেখে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় আটক আসামি তজিবর রহমান বাদীর সামনে পুলিশের কাছে স্বীকার করে আসামী তার যৌনকার্য চরিতার্থ করার লক্ষে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরলে শর্মীলা খাতুন মারা যায়। হত্যার পর মৃতদেহ মেহগনি গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরবর্তীতে হাফিজুর রহমান কালু বাদী হয়ে ২৭ জুন চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত করে আসামি তজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ওই বছরই ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি তজিবর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং একলাখ টাকা জরিমানা করেন। মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত তজিবর রহমান কারাগারে আটক রয়েছেন।
যাযাদি/এস