সাতকানিয়ায় কমছে মামলা জট, রেকর্ড সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৩২

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত দীর্ঘদীনের মামলাজটের পর এবার মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড করেছেন । এক বছরে (সরকারি ছুটি ব্যতীত) কর্মদিবসে নিষ্পত্তি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ২৩৬টি মামলা। কম সময়ের মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় সেবাপ্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন বলে আদালত পাড়ায় গুঞ্জন ওঠেছে। এতে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়ছে জনগণের। ফলে ভোগান্তি ও মামলার ব্যায়ও কমেছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিচারপ্রার্থী ও বিচারকার্য সহায়তায় নিয়োজিত একাধিক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।  

সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল। আদালতের সেরেস্তাদার সন্তোষ ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, স্বত্ত্ব ও অপর মামলা ৪ হাজার ৮শ’ ৯২টি, অগ্রক্রয় মামলা ৮৩টি, পারিবারিক মামলা ৯৬টি, মানি মামলা ১১টি, অন্যান্য মামলা ১৯৩টি, পারিবারিক মামলা ৯টি, ঘর ভাড়া মামলা ১১টি, আপিল মামলা দুটি, অর্পিতা মামলা ২৭৮টি, অপর জারি মামলা ৭৬টি, পারিবারিক জারি মামলা ১৭৭টি, মানি জারি মামলা ১টি, অর্পিতা মিচ মামলা ৭টি মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৮৩৬টি মামলা চলমান ছিল। তার মধ্যে মোট ১ হাজার ২৭৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। 

গত ১ বছরে কর্মদিবস ছিল ২৩৬ দিন। প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ৫টিরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হওয়া সরকার ঘোষিত বিচার বিভাগে গতিশীলতা আনয়নে ব্যাপক সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সাতকানিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন কচি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা অবসান হচ্ছে। এই সংস্কৃতি চালু থাকলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

 সাতকানিয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, মানুষ যত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে, ততই বেশি বিচার বিভাগের আস্থা বাড়বে। আশা করি দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে। আইনজীবী সহকারী নেজাম উদ্দিন বলেন, বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে বছরের পর বছর ঘোরাঘুরির দিন শেষ হয়ে আসছে। বিচারালয়ে অনেক বেশি গতিশীলতা এসেছে। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি বাড়ছে মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা দিন দিন বেড়ে যাবে।