পাবনায় ২২ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৪১ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫১

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আলাউদ্দিন ওরফে আলাল নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ২২ বছর পর চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন উপস্থিত ছিলেন আর অপর দুইজন পালাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট আলাউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ চরতারাপুর পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার ৩ দিন পর পদ্মা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিনের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। ১২ জনের সাক্ষ্য ও দীর্ঘ আইনীপ্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।

মামলার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, রাষ্টপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র অভিযোগপত্রের ওপর ভিত্তি করে আদালত এই রায় দিয়েছেন। ফলে আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি সেখানে ন্যায় বিচার পাব।