ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কাউন্সিলর রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২৩, ০৯:১৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভাসমান ট্রলারে অর্ধগলিত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেনকে গত শনিবার চরপাড়া থেকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার খায়ের হোসেনকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, এ নিয়ে এই মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনসহ মোট সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে কামাল হোসেন ওরফে বাইট্যা কামাল, করিম সিকদার, আবু তৈয়ূব, ফজল কাদের ও গিয়াস উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

কামাল হোসেন আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছেন, ১০ জনের ট্রলারটি সাগরে ডাকাতি করতে গিয়েছিল। ঘটনার সময় তিনি কক্সবাজার শহরে ছিলেন। তবে ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে তাঁর কয়েক দফা যোগাযোগ নিশ্চিত হয়েছেন। পরে জানতে পারেন, ডাকাতির একপর্যায়ে বেশ কয়েকটি ট্রলারের জেলেরা মিলে এই ১০ জনকে ধরে প্রথমে গণপিটুনি দেন। এরপর গুম করার জন্য বরফ রাখার কক্ষে আটকে রেখে ট্রলারটি (ডুবন্ত ট্রলার) সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার অপর দুই আসামি (ট্রলারের মাঝি) আবু তৈয়ূব ও ফজল কাদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, নির্মম ঘটনাটি নিজেদের চোখের সামনে ঘটলেও কোন ভাবে তাঁরা জড়িত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজার নাজিরারটেক বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ডুবন্ত একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এ ব্যাপারে ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ (মহেশখালীর মাতারবাড়ির বাইট্যা কামাল, করিম সিকদার, আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন ডুবন্ত ট্রলারের মালিক ও মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত সামশুল আলম মাঝির স্ত্রী রোকিয়া আকতার।

যাযাদি/ এস