যুবলীগ নেতা জেম হত্যা 

৬ আসামি কারাগারে, ২৬ জনের জামিন বহাল

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০৮:৪৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন পাওয়া ৩২জন আসামী মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় আধা ঘন্টা জামিন আবেদন শুনানী শেষে মামলার আসামীদের মধ্যে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আদিব আলী।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ৩টায় বিচারক মো. আদীব আলী  এই আদেশ দেন। এ সময় উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ২৬ জনের জামিন বহাল রাখা হয়।

এর আগে দুপুরে জেম হত্যা মামলার ৩২জন  আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদের এ আদেশ দেওয়া হয়। এই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনপ্রাপ্ত প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আ.লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান আদালতে উপস্থিত হননি।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সামিউল হক লিটন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন ও মাহিন রেজা ওরফে মুমিন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাজমুল আজম টিপু জানান, জেম হত্যা মামলার মোট ৪৮ জন আসামি। তার মধ্যে ৩৪ জন আসামি উচ্চ আদালতে জামিন নেন। আজ উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৩২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ২৬ জনকে জামিন দেন। এর আগে ৩ মার্চ উচ্চ আদালতে তারা জামিন নেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জন আসামি ১৬৪ ধারায় ১২ জন আসামির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি, আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করেই আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জন আসামি সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজাহারের অভিযোগের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে আদালত এই ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম আরও বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ৩৪ জন আসামির জামিন হলেও মঙ্গলবার ৩২ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন অন্য একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন ।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় খাইরুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত ২২ এপ্রিল রাত ২টার দিকে খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়র মুখলেসুর রহমানসহ দুজন হাজিরা দেয়নি।

যাযাদি/ এস