হোলি আর্টিজান মামলায় ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫৯
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে আলোচিত হামলা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেন। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আসামিদের আপিল এবং জেল আপিল খারিজ করে এই রায় দেন তাঁরা।
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।
সাত বছরেরও বেশি সময় আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় ২০১৯ সালে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাত আসামিরা হলেন- রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করেছিল তারা। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় ও তিনজন বাংলাদেশি। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ হামলাকারী নিহত হন।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এই হামলা মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে। তাদের মধ্যে ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজন, হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্য, হলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, জিম্মি হয়ে পড়া অতিথি এবং যেসব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে নৃশংস এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেসব বাড়ির মালিকেরা। এ ঘটনায় জড়িত জীবিত থাকা আট জঙ্গি কারাগারে আছেন।
যাযাদি/ এসএম