কালীগঞ্জে বর্বর নির্যাতনে স্কুলছাত্রী হত্যা

ছবি: যায়যায়দিন

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈলমারী চরের একটি ভুট্টাখেত থেকে হাত বাঁধা এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার শিকার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া জান্নাতি আক্তার ওই এলাকার ফজু মিয়ার মেয়ে।

পরিবারের লোকজন জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় রান্না বসিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে  তা দেখতে বলে কিছুটা দূরে থাকা বাবার বাড়িতে যান তার মা। এসময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। কিছুক্ষন পর ফিরে এসে বাড়িতে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মেয়েটির মা। পরে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেতে মেয়ের লাশ দেখতে পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটির দুই হাত পিছনদিকে বাধাঁ ছিল। তার একটি হাত ও একটি পা মুচড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুখে গুঁজে দেয়া হয়েছে বালু। কানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার আগে সে ধর্ষনের শিকার হয়েছিল কিনা তা তাৎক্ষনিকভাবে কেউ জানাতে পারেনি। ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

হত্যার কারণ উদঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত করতে বেলালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে মৃতের বাবা ফজলুল হক। এ মামলায় পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত যুবক বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেলাল হোসেনের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুপ্ত জনতা ও একই সাথে বিচারের দাবী করে।
সকালে কালিগঞ্জ থানা ঘেরাও করে  ছাত্র জনতা, বিক্ষোভ সহ লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানববন্ধন করেন ছাত্র-জনতা।

কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, মৃত জান্নাতীর মুখ থেকে গলা পর্যন্ত মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঘাতকরা। প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মৃতের ভাইয়ের সঙ্গে গ্রেপ্তার  হওয়া যুবকের ভাইয়ের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের এ পারিবারিক কলহের জেরে এটি হতে পারে বলেও ধারণা করে তদন্ত করা হচ্ছে।