এখনো পুলিশ হত্যা মামলার আসামি ফাইয়াজ, যা জানাল তার পরিবার

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০২

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের জুলাইয়ে আটক হয়েছিল কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ। একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল।

তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা জানালেও সরকারের পতনের প্রায় ৯ মাসেও বিষয়টির সুরাহা করেননি তারা। 

ফাইয়াজের পরিবার জানিয়েছে, আগে মামলার সুরাহার আশ্বাস দিলেও বর্তমানে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দোহায় দিয়ে মামলাটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। 

জানা গেছে, ওই মামলায় ফাইয়াজের রিমান্ডের আদেশও এসেছিল। পরে ফাইয়াজের আটকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। 

মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার মুক্তি দাবি করে। পরে তার রিমান্ড আদেশ বাতিল হয়। ফাইয়াজ বর্তমানে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। 

ফাইয়াজের মামলার বিষয়ে তার বড়ভাই মাজহারুল ইসলাম জানান, ওই মামলার প্রধান দুই আসামি ডেমরা থানা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। ওই সময় তাদের আটক করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল পুলিশ। সেই জবানবন্দির অজুহাত দেখিয়ে পরে আর মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ৬ আগস্ট তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম খুব দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। পুলিশও বলেছিল এই মামলায় ওকে দেওয়া একটা ভুল ছিল। আমরা আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ফাইনাল রিপোর্টটা দিচ্ছে না। 

আমরা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিলাম,- ডিবি, আইজিপি- তখন তারা বলছে এটা ক্লিয়ার করে দেওয়া হবে। কিন্তু সর্বশেষ তারা বলছে, আমাদের কাছে ঘুরে কোনো লাভ নাই। উপর থেকে এগুলোর জন্য সিগন্যাল আসতে হবে। অন্যথায় এগুলো ক্লিয়ার হবে না। 

তারা এত জটিলতা দেখিয়েছে, এখন বুঝতে পারছি এগুলো আসলে প্রহসন। সর্বশেষ এটি আমরা খুব হতাশ হয়ে গেছি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা চিন্তা করেছিলাম সংবাদ সম্মেলন করার। কিন্তু তাঁর আগেই অনলাইনে বিষয়টা আসার কারণে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর আমরা স্বাভাবিকভাবে এগুচ্ছিলাম, সরকারকেও কোনো চাপে রাখতে চাইনি। 

এদিকে গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথা বলেছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। 

তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ফাইয়াজের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।

যাযাদি/ এস