কারাগারে ব্যতিক্রমী ঈদ, বন্দিদের মুখে হাসি

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২৫, ১১:৩৩

বিশেষ প্রতিনিধি
যায়যায়দিন

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে এবারের ঈদ উদযাপন ছিল ব্যতিক্রমী, মানবিকতা ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন-এর নির্দেশনায় কারা কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন বন্দিদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, যা সকলের মাঝে এনে দিয়েছে এক নতুন অনুভূতি।

ঈদের দিন সকাল থেকেই কারা অভ্যন্তরে সাজসাজ রব। সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার এবং জেলার এ কে এম মাসুম-এর নেতৃত্বে শুরু হয় ঈদের বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা। কারা অধিদপ্তরের একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ এ আয়োজনে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। জেল সুপার ও জেলার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে বন্দিদের পাশাপাশি তাদের পরিবার পরিজনের অংশগ্রহণে এই ঈদ অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গান ও সংগীতের আয়োজন করা হয়। গায়কদের  সুরে-সুরে বন্দিদের চোখেমুখে ফিরে আসে হারানো হাসি। এই সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্দিদের মনোবল ও মনঃচর্চা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশেষ খাবারের মেনু ছিল ঈদের আনন্দকে আরও সম্পূর্ণ করে তোলে। বন্দিদের জন্য পরিবেশিত হয় মিষ্টি, খাসির মাংস, গরুর মাংস, মাছ, পোলাওসহ বাহারি পদের খাবার। এই আয়োজন বন্দিদের মনে এক ধরনের প্রশান্তি ও আত্মিক তৃপ্তি এনে দেয়।

এছাড়াও, কারাবন্দীদের পরিবারের জন্য দর্শনার্থী সুবিধা ও সহযোগিতাও ছিল বিস্তৃত। দর্শনার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  অনেকেই জেলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। দর্শনার্থীরা বলেন, “এমন মানবিক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বন্দিদের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে এরকম আয়োজন খুবই কার্যকর।”

সুশীল সমাজ মনে করে  কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে এবারের ঈদ অনুষ্ঠানটি ছিল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। বন্দিদের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি সমাজে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।