তাবেলা সিজার হত্যা মামলা

বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ ৪ জন খালাস

৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৫, ২০:৫৩

যাযাদি রিপোর্ট
বাঁ থেকে ড. এম এ কাইয়ুম ও ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজার

 

ঢাকার গুলশানে ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৩ জনের  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালত। তবে আলোচিত এ মামলায় বিএনপি নেতা ড. এম এ কাইয়ুম ও তার ভাই আব্দুল মতিনসহ  ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত সাত আসামির মধ্যে তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল এবং রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক ছামিদুল ইসলাম।

ড. এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙ্গারি সোহেলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলাটি আসামিপক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম পরিচালনা করেন। রায়ের আগে ৭০ জন সাক্ষীর এ মামলায় ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী ২০১৬ সালের ২৮ জুন মামলাটিতে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট গঠন করেন। 

পরে মামলাটি ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জশিট দাখিল করে।

চার্জশিটে বলা হয়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।

মামলায় তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে জগিং করার সময় দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত হন ইতালির নাগরিক ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। ওইদিনই তার সহযোগী আইসিসিও এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

তাবেলা সিজার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।