অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:২০

যাযাদি ডেস্ক
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বনানী থানার অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। শুনানির জন্য আনিসুল হককে এদিন সকালে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই ইয়াদুল হক আনিসুল হকের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এরপর শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক এই মন্ত্রীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আনিসুল হকের নিজের নামে লাইসেন্স করা একটি পিস্তল আছে। সরকার পতনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। এবং গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

কিন্তু আনিসুল হক তার অস্ত্রটি থানায় জমা দেননি বা থানাকে এ সম্পর্কে কিছু জানানি। তার ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং অস্ত্র জমা সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি।

এছাড়া তিনি কোনো গুলি কিনেছেন এমন তথ্যও পাওয়া যায়নি। ফলে তিনি ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আট দিনের মাথায় ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় পুলিশ।

এরপর বিভিন্ন হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং এসব মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দফায় দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়।

২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। সে সময় তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়।

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে তিনি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। তৃতীয়বারের মত তাকে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।