জেনে নিন কিসমিস ভেজা পানি পানের উপকারিতা

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫২

যাযাদি ডেস্ক

কে না জানে, কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিসমিস না-খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেলেও ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে প্রবেশ করে।
কিসমিসে আছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং আপনার চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

এবার জানবেন কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। সারা রাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকাল বেলা সেই পানি খান। আগেও বলেছি ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিসমিস ভেজা পানির ভূমিকা রয়েছে।

ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমায়

রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন। দিন পনেরো পরেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান। তাহলে ভেজা কিসমিস ও তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন। তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান। তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখুন। শিগগিরেই সুফল পাবেন।
এসএম