শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধূমপান থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৫

ধূমপায়ীদের ধূমপান বর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও কখনো কখনো তা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে সম্ভব হয়ে উঠে না। কাজের চাপ বা রোজকার জীবনের একঘেয়েমি কাটাতেই যেন ধূমপানের আশ্রয় নেওয়া। মনের কোনায় হয়তো এটাও ঘুরপাক খায়, ধূমপান বন্ধ করলে তার পরিবর্তে কোনো অভ্যাসকে প্রতিস্থাপন করা যাবে। নিতান্তই শখের বসে শুরু করা ধূমপানের অভ্যাস ধীরে ধীরে গ্রাস করতে থাতে অচেতন মনকে। মস্তিষ্ককে সংবাদ দিতে থাকে ‘তাকে ছাড়া আমার চলবে না’।

মস্তিষ্কই নির্ধারণ করে আমাদের কর্মকাণ্ড। আমরা যেমন মস্তিষ্ককে বারবার বলি ধূমপান করব, করতে ভালো লাগে কিংবা ধূমপান না করে থাকতে পারব না। বারবার এ ধরনের চিন্তা মনে অবচেতনভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং ক্রমাগত শখ থেকে ধূমপান আসক্তির পথে নিয়ে যায়।

এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আমরা কি এই আসক্তিকে আশকারা দিয়ে পালতে চাচ্ছি? নাকি ধূমপানের কারণে শরীরে যে স্থায়ী ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণ চাই?

মনই সকল আসক্তির ঘর। তাহলে কি এই মন আয়ত্তে আনতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান! একদমই তাই। ক্লিনিক্যাল হিপনোথেরাপি বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা, এমন একটি বিকল্পধারার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অবচেতন মন নিয়ন্ত্রণে এনে ধূমপানের আসক্তি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। শুধু এক বা দুই সেশনেই অভিজ্ঞ হিপনোথেরাপিস্টের সহায়তায় এ আসক্তি থেকে অব্যাহতি সম্ভব। বিভিন্ন কেস স্টাডিতে দেখা যায়, চার অথবা পাঁচ বছর পর অনেক সময় এ আসক্তি ফিরে এলেও তা আবার থেরাপি করে নিলেই পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব।

বর্তমানে বিভিন্ন মানসিক সেবার সংযোজন হয়েছে। পাশ্চাত্যে এ বিকল্পধারা চিকিৎসা আশির দশক থেকে ব্যবহৃত হলেও আমাদের উপমহাদেশে এর আগমন আরও পরে। বিনা ওষুধ সেবন কিংবা ওষুধের কার্যকারিতা বাড়াতে ক্লিনিক্যাল হিপনোথেরাপি সেশন দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য নানা উপসর্গের পাশাপাশি স্মোকিং সিসেশন বা ধূমপান আসক্তি থেকে বিরত হতে সাহায্য করে। অথরেটেটিভ সাজেশনের মাধ্যমে অবচেতন মন বা সাবকনশাস মাইন্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে খুব সহজেই ক্লিনিক্যাল হিপনোসিস করে ধূমপানের বদভ্যাস ছাড়াতে পারেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে