ঠকতে হবে না, ঠোঁট দেখেই ধরতে পারবেন আসল চরিত্র! 

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০০

যাযাদি ডেস্ক

ঠোঁট সুন্দর না থাকলে কি আর হাসি সুন্দর হয়! অন্যান্য অঙ্গের মতো হলেও ঠোঁটের রয়েছে আলাদা ক্ষমতা। চোখ যে মনের আয়না, তেমনই ঠোঁটে ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্বের ধরন। ওষ্ঠের আকৃতি থেকে বোঝা যায়, কোনও ব্যক্তি উদ্যমী না কি প্রায়ই হতাশায় ভোগেন, বন্ধুবৎসল না কি একা থাকতে পছন্দ করেন।

একজোড়া লাল ঠোঁট। প্রেমিকার অধর ছোঁয়ার আকুল আর্তি নিয়ে কত গান, কত কবিতা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঠোঁট দেখেই বোঝা যায় গহন গভীর মনের গোপন রহস্য। সুকুমার রায় থাকলে বলতেন, ঠোঁটের আমি ঠোঁটের তুমি ঠোঁট দিয়ে যায় চেনা।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, কোনও ব্যক্তির স্থায়ী বৈশিষ্ট এবং আচরণই তার ব্যক্তিত্ব। যা ব্যক্তির আগ্রহ, মূল্যবোধ, ক্ষমতা এবং মানসিক দৃঢ়তাকে প্রকাশ করে। এর মধ্যে আচার-ব্যবহার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কথা বলার ধরনও।

পাতলা ঠোঁটের ব্যক্তি বুদ্ধিজীবী এবং অন্তর্মুখী হন। নির্জনতা পছন্দ করেন। আবেগপ্রবণ এবং একটুতে রেগে যান। তবে হ্যাঁ, মানসিক টানাপোড়েনেও ভোগেন। ‘ওরা আমার সম্পর্কে খারাপ কিছু ভাবছে’, এই চিন্তা তাঁদের কুরে কুরে খায়। বুক ফাটে, কিন্তু মুখ ফোটে না। 


মোটা ঠোঁটের ব্যক্তি স্নেহ, দয়া, মায়ায় পূর্ণ মানুষ।অন্যের প্রতি সদা যত্নশীল। সব কাজেই এঁদের অদম্য উৎসাহ। প্রচণ্ড রকমের আশাবাদী। নিজের সুবিধা-অসুবিধার চেয়ে অন্যের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দেন। সেটা এতটাই যে কখনও কখনও অন্যের দোষ-ত্রুটিও দেখতে পান না। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। নিজের মতের প্রতি অটল আস্থা রয়েছে এঁদের। এই মনোভাব ভাল, কিন্তু অনড় থাকাটা মোটেই কাজের কথা নয়। অন্য দিকে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর কাছে নিজের ভালবাসা প্রকাশ করতে এঁরা অপারগ।

যাযাদি/ এম