‘কেউ আমাকে পছন্দ করে না’ 

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৫, ১২:৫৪

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: প্রতীকী

সোশ্যাল অ্যাংজাইটি বা সামাজিক ভীতিতে যারা ভুগতে শুরু করেন এক সময় তাদের পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার দেখা দেয়। 

যারা সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন তাদের যেকোনো ধরনের সিচুয়েশনের এক রকম অহেতুক ভীতি তৈরি হয়।

এই ধরণের মানুষেরা ভাবতে থাকে তাকে কেউ পছন্দ করে না।

মিটিংয়ে কথা বলা, সামাজিকভাবে কারও সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, নতুন কারও সাথে পরিচিত হওয়া বা  অন্য কারও সামনে কিছু পারফর্ম করার সময় সমস্যা অনুভব করেন। 

বিশেষ করে যে কাজগুলোতে আমাদের অন্যের চোখে নিজেদেরকে ইভ্যালুয়েট করার সুযোগ থাকে সেই জায়গাতে এক ধরণের অ্যাংজাইটি তৈরি হয়। 

এবং এর প্রভাবে নানা রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। 

কাদের বেশি হয়: যারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। 

জেনেটিক বা জিনগত কারণে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি হতে পারে। আবার মস্তিষ্কের মিগডালায় যদি কোনো গুণগত মানের ত্রুটি থাকে তাহলেও হতে পারে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি। 

শৈশবে  যদি কেউ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় বা কারো দ্বারা সমালোচনা, নেতিবাচক মন্তব্য, মজা, খারাপ আচরণ কিংবা বুলিংয়ের শিকার হয় তাহলেও পরবর্তীতে সোশ্যাল ফোবিয়া হতে পারে। 

ডা. মেখলা সরকার, সাইকিয়াট্রিষ্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘সোশ্যাল অ্যাংজাইটি দেখা দিলে ব্যাক্তির মনে হয়, আমাকে মনে হয় আরেকজন খুব নেতিবাচকভাবে দেখছে। আমাকে বোধহয় খুব অটোয়াড লাগছে। 

এই ধরণের পরিস্থিতিতে ব্যক্তির পারফরমেন্স কিন্তু সত্যি সত্যি খারাপ হয়ে যায়।’’

কি কি সমস্যা দেখা দেয়: 

গলা শুকিয়ে যায়

বুক ধড়ফড় করে

খুব নার্ভাস ফিল হয়

হাত কাঁপে

শ্বাসকষ্ট হতে পারে

মানসিক স্ট্যাবিলিটি নষ্ট হতে পারে

উল্লেখ্য, সোশ্যাল অ্যাংজাইটি মানুষের সামাজিক পটেনশিয়ালিটি নষ্ট করে দেয়। 

জীবনের প্রতি আগ্রহ করে যায়। এই সমস্যা দূর করতে সাইকোথেরাপির অংশ হিসেবে কিছু বিহেভিয়ার থেরাপি গ্রহণ করা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্  গ্রহণ করা উচিত।