নেছারাবাদে সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৫, ১৪:১৪

নেছারাবাদ ( পিরোজপুর) প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: যায়যায়দিন

পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি” বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কৃষক-কৃষাণীদের জন্য আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে প্রতিটি শ্রেণির অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও জ্ঞান লাভ করতে পারেন।

প্রশিক্ষণের আজ দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম।

তিনি প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষক ও শিক্ষকদের পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা গেলে তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

তিনি অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ ও উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশিক্ষণটি বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

এছাড়াও প্রশিক্ষণে কৃষি কর্মকর্তা চপল কান্তি নাথ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুষ্টিবিদ এবং প্রশিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত থেকে ফলিত পুষ্টি বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা ফল ও শাকসবজির পুষ্টিগুণ, খাদ্য প্রস্তুত প্রণালি, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস গঠনের উপরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ এবং বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও কৃষাণীরা।

তারা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে পুষ্টি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ও সচেতনতা বাড়াতে পেরেছেন বলে জানান।

বারটান-এর কর্মকর্তারা জানান, এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো মাঠপর্যায়ে ফলিত পুষ্টি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে সাধারণ জনগণ সহজে পুষ্টিকর খাবার উৎপাদন ও গ্রহণে উৎসাহিত হন।

ভবিষ্যতে অন্যান্য উপজেলায়ও এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এলাকার জনগণের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ও জীবিকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।