বিয়ের খরচ মেটাতে মিলবে ঋণ, জানুন কোন ব্যাংকে কী সুবিধা

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১১:১১

যাযাদি ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

বিয়ে করতে চান, কিন্তু আর্থিক সঙ্কটে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? এমন পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ‘বিবাহ ঋণ’ নামে বিশেষ ব্যক্তিগত ঋণসুবিধা দিচ্ছে কয়েকটি ব্যাংক। এ ছাড়া সাধারণ পারসোনাল লোন নিয়েও বিয়ের ব্যয় মেটানো যাচ্ছে। এসব ঋণ নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে, মাসিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।

কত ঋণ মিলবে?

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিবাহ ঋণ নেওয়া যায়। কিস্তিতে পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর। তবে কিস্তির সংখ্যা বাড়লে সুদের হারও বাড়তে পারে

কারা এই ঋণ পাবেন?

স্থায়ী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি এ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় আবেদনকারীর মাসিক আয়, চাকরির ধরন, চাকরির অভিজ্ঞতা, লেনদেনের ইতিহাস ও আর্থিক স্থিতিশীলতা। মাসিক কিস্তি যেন গ্রাহকের আয় অনুযায়ী ভারসাম্যপূর্ণ থাকে, তা ব্যাংক নির্ধারণ করে।

কোন ব্যাংকে কী সুবিধা?

এনসিসি ব্যাংক: ব্যক্তিগত ঋণের আওতায় ১ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিবাহ ঋণ দেয়। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও জমির মালিকরা আবেদন করতে পারেন। চাকরিজীবীদের ন্যূনতম আয় হতে হবে ৩০ হাজার, অন্যদের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার টাকা।

উত্তরা ব্যাংক: ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। পরিশোধের মেয়াদ ১ থেকে ৩ বছর।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা আবেদন করতে পারবেন।

ইউসিবি: সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৫ বছর। বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সুবিধা নিতে পারবেন।

সীমান্ত ব্যাংক: শুধুমাত্র বিজিবি সদস্যদের জন্য। সদস্যদের নিজের অথবা সন্তানের বিয়ের খরচ মেটাতে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৪০ বছর (সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর)। ন্যূনতম ৬ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আবেদন করতে কী লাগবে?

জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, চাকরির প্রমাণপত্র, সর্বশেষ ৩–৬ মাসের বেতন স্লিপ, ব্যাংক বিবরণী, টিআইএন সার্টিফিকেট এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এনওসি জমা দিতে হবে। কখনও কখনও বিয়ের কার্ড কিংবা বর–কনের ছবি চাওয়া হতে পারে।

বিয়ে শুধু একটি সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, অনেক সময় বড় অংকের ব্যয়ের ব্যাপারও বটে। তাই আগেভাগে পরিকল্পনা করে প্রয়োজন হলে বিবাহ ঋণের সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।