যুবকের প্রেমে পড়ে পাকিস্তানে মার্কিন সুন্দরী, অতঃপর...
প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেম, তারপর হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে এসে বিয়ে—এ যেন সিনেমার কাহিনি! তবে এবার সেটাই বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার আপার দির জেলায়।
পাকিস্তানি যুবক সাজিদ জেব খানের প্রেমে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর বাসিন্দা মিন্ডি। সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ফেসবুকে, আর এবার প্রেমিককে জীবনসঙ্গী করতে মিন্ডি পৌঁছে গেছেন পাকিস্তানে। ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছেন তিনি।
স্থানীয় ইসলামি রীতি-নীতি অনুসারে আজ (মঙ্গলবার) তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জিও নিউজ।
মিন্ডিকে স্বাগত জানান সাজিদ নিজেই। ইসলামাবাদ বিমানবন্দর থেকে তারা একসঙ্গে যান দিরের উশেরি দারা এলাকায়, যেখানে মিন্ডিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান স্থানীয়রা।
পেশায় একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট মিন্ডি। দুই বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের পর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাজিদের ভাষায়, “মিন্ডিই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দেন। আমি সম্মত হই, তারপর পরিবারের সম্মতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই।”
এদিকে সাজিদের বাড়ি থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় মিন্ডি বলেন, “এটি আমার প্রথম পাকিস্তান সফর। দেশটি শান্তিপূর্ণ ও চমৎকার। আমি এসেছি সাজিদের জন্য এবং আমরা শিগগিরই বিয়ে করব।”
বিদেশি নারীদের প্রেমে পাকিস্তান সফর, ঘটনার পুনরাবৃত্তি
এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন অনেক প্রেমের গল্প উঠে এসেছে শিরোনামে—
২০২3 সালে শিকাগোর ৩৩ বছর বয়সি অনিজাহ অ্যান্ড্রু রবার্টসন নিউইয়র্ক থেকে করাচি পাড়ি জমিয়েছিলেন প্রেমিক নিদাল আহমেদের আহ্বানে। কিন্তু পরবর্তীতে প্রেমিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি পাকিস্তানে আটকে পড়েন।
২০২3 সালের জুনে, মেক্সিকান নারী আয়েশা বিবি (পূর্বনাম অজানা) এসেছিলেন ১৮ বছর বয়সি ইজাজ আলীকে বিয়ে করতে। ফেসবুকেই তাদের প্রেম, বিয়ের আগে ইসলাম গ্রহণ করেন আয়েশা।
২০১৮ সালে, মার্কিন নারী হেলেনা পাকিস্তানের শিয়ালকোটে যান ২১ বছর বয়সি কাশিফকে বিয়ে করতে। তিনিও বিয়ের আগে ইসলাম গ্রহণ করেন।
২০২৩ সালে জুলাইয়ে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের নারী অঞ্জু ফেসবুক প্রেমে ছুটে যান পাকিস্তানে, বিয়ে করেন নাসরুল্লাহকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রাখেন ফাতিমা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই প্রেম এখন আর শুধু ভার্চুয়াল নয়—সীমানা পেরিয়ে বাস্তব জীবনে পরিণত হচ্ছে বিয়ে, সংস্কৃতি ও ধর্মের মেলবন্ধনে। আর তাতে যুক্ত হচ্ছে আলোচনার নতুন মাত্রা।