বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বসন্তে ভিন্ন আঙ্গিকে চুলের যত্ন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৫৭

শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার পর এখন বসন্ত। মৃদু বাতাসের সাথে তীব্র রোদের ঝলকানি। আর বাতাস ও রোদের কারণে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে তুলনামূলক বেশি। কিন্তু চুলের ক্ষতিটা একটু বেশি চোখে পড়ে। কাজেই বসন্তে চুলের যত্নটা হতে হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকেই।

চলুন তাহলে জেনে নেই কীভাবে বসন্তের শুষ্কতার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করা যেতে পারে।

১। প্রতিদিন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে : প্রাকৃতিকভাবে স্ক্যাল্পে তৈরি হওয়া তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। যা চুলকে মজবুত করে। অনেক বেশি চুল ধোয়া হলে চুলের তেল বেরিয়ে যায় এবং চুল তার প্রাকৃতিক উপাদান গুলোকে হারিয়ে ফেলে। ফলে চুল শুষ্ক হয়ে ভাঙতে শুরু করে। সব থেকে ভালো হয় প্রতিদিন চুল না ধুয়ে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার চুল ধুলে।

২। নারিকেল তেল ট্রিটমেন্ট : নারিকেল তেলের বহু গুনাগুণ রয়েছে। ত্বক এবং চুলের যত্নে এর ব্যাপক কার্যকারিতা রয়েছে। তবে চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশি আঠালো হয়ে যায়। আঠালো ভাব কমাতে চাইলে অবশ্যই অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে।

৩। মেহেদি দেওয়া যেতে পারে : ঘরোয়াভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য মেহেদি সব থেকে বেশি উপযুক্ত একটা উপাদান। তবে বাজারে পাওয়া যায় এমন মেহেদি থেকে কাঁচা পাতা বেটে চুলে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চুলের ধরন যেমনই হোক না কেনো মেহেদি যাদুকরী ভূমিকা রাখে।

৪। ঘরে তৈরি চুলের মাস্ক ব্যবহার : ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক মৌসুমে চুলের ক্ষতি হয় দিগুণ হারে। তাই যত্নের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হয় বাড়তি কিছুর। সে ক্ষেত্রে চুলের মাস্কের ব্যতিক্রম নেই। খুব সহজেই ঘরে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্ক। যেগুলো চুলের কোনো ক্ষতি করে না বরং চুলকে করে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

বসন্তে ভিন্ন আঙ্গিকে চুলের যত্ন

ডিমের কুসুম এবং অলিভ অয়েলের মাস্ক রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলকে হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। মাস্কটি চুলে ম্যাসাজ করে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মধু চুলের অতিরিক্ত রুক্ষ ভাব দূর করে এবং স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। মাস্কটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে মধু, দই, অলিভ অয়েল এবং ডিমের কুসুম। মাস্কটি চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করে অন্তত ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৫। চুলের ট্রিম করতে হবে নিয়মিত : এ সময় যতই যত্ন করা হোক না কেনো চুলের আগা ফাটা খুব একটা দূর করা যায় না। চুল দেখতেও অনেক খারাপ হয়ে যায়, নিস্তেজ মনে হয়। তাই নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুল ট্রিম করতে হবে। এতে করে চুলের আগা ফাটার প্রবণতা কমে আসবে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে