চুল ও ত্বকের যত্নে ‘ভিটামিন ই’, জেনে নিন কীভাবে
প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২২, ১৭:৩৭
শীত এখনও যাব যাব করেও পুরো বিদায় নেয়নি। আর এই সময় আমাদের ত্বক আর চুল খুব শুষ্ক হয়ে যায় এবং উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। এই সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করতে হবে, যা একটি সুস্থ শরীর বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এরকমই একটি অপরিহার্য ভিটামিন হলো ভিটামিন ই, যা সুস্থ ত্বক, চুল এবং পেশি বজায় রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
ভিটামিন ই ১৯২২ সালে প্রথম বার্কলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হার্বার্ট এম ইভান্স এবং ক্যাথরিন বিশপ দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। ভিটামিন ই সেই থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চর্মরোগবিদ্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই
ভিটামিন ই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করে। এটি নিস্তেজ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট হিসাবেও কাজ করে। উপরন্তু কোলাজেন, যা ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেই কোলাজেনকেও সুরক্ষিত রাখে এই ভিটামিন। ফলে বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে।
২০১৬ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভিটামিন সি এবং রেটিনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সঙ্গে একত্রে ভিটামিন ই চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কম করতে পারে। ভিটামিন ই ব্রনর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
চুলের জন্য ভিটামিন ই
শুধু ত্বকেই নয়, চুলের ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে এই ভিটামিন। ভিটামিন ই স্কাল্পের মাইক্রোসার্কুলেশন এবং অক্সিজেনেশন প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে এবং এইভাবে সেলুলার স্তরে পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার জন্য ভিটামিন ই অপরিহার্য।
ভিটামিন ই-র অভাব
ভিটামিন ই-র অভাবের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, পেশির দুর্বলতা, রেটিনা-সম্পর্কিত সমস্যা এবং ভারসাম্য রাখার সমস্যা। এছাড়াও সেলুলার উইকনেস বা দুর্বলতাও আরও একটি কারণ।
কীভাবে গ্রহণ করা উচিত ভিটামিন ই?
বিভিন্ন প্রকার বীজ, বাদাম, তেল এবং কিছু ফল ও সবজিতে ভিটামিন ই থাকে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন অ্যাভোকাডো, পেঁপে, পালং শাক এবং বাদামও খাওয়া যেতে পারে। খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই না পেলে সাপ্লিমেন্ট নেয়া যেতে পারে। তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
যাযাদি/ এস