কোন কোন প্রসাধনী মাখবেন?

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, মাত্র দু’টি বিষয় মানলেই

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, হাইড্রেশন এই বিষয়গুলো ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

লাইফস্টাইল স্বাস্থ্যকর হলে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। সব সময় প্রসাধনী দিয়ে ত্বকের খেয়াল রাখতে হবে, এমনটা নয়। স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, হাইড্রেশন এই বিষয়গুলো ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

তবে প্রসাধনীরও মাঝে মাঝে সাহায্য নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় রয়েছে, যা ত্বকের যত্নে অবশ্যই মেনে চলা উচিত। এই দু’টি বিষয় ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে সহায়ক।

এক্সফোলিয়েশন
এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে ত্বক থেকে মৃত কোষ, ময়লা, ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে এক্সফোলিয়েশন মানেই যে দানাযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে, এমনটা নয়। আলফা হাইড্রএক্সি অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক বা ল্যাক্টিক অ্যাসিডের মতো উপাদান সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই উপকার মিলবে। এই ধরনের উপাদানগুলো ত্বকের জেল্লা বাড়ায়, মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী অ্যাসিড-যুক্ত এক্সফোলিয়েটর বেছে নিতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
বয়স বাড়লেও ত্বকের উজ্জ্বলতা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জরুরি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।

ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। সাধারণত খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখলেই উপকার মেলে। এর জন্য বেরি ও লেবুজাতীয় ফল, তাজা শাকসব্জি, বাদাম ও বীজ, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন।

এ ছাড়াও স্কিন কেয়ার রুটিনে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, নিয়াসিনামাইডের মতো সিরাম ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউভি রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। তাই ডায়েটের পাশাপাশি ড্রেসিং টেবিলেও থাকুক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

সতর্কীকরণ: ত্বকের কোন সমস্য থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।