তরুণীরা বেস মেকআপটা হালকাই নিতেই বেশি পছন্দ করেন। তারা নিত্যদিনের সাজে তো বটেই; পার্টি মেকআপেও ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে বেস মেকআপ করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্নরকম চোখের সাজে কফি, বাদামি এসব রংয়ের ব্যবহার করে থাকেন। নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য এই চর্চা। দেখা গেছে, তারা নীল-সবুজ এমন চড়া রংগুলোর প্রচলন কখনো কমিয়েছেন আবার কখনো বাড়িয়েছেন। তরুণীদের এই বেস মেকআপ চর্চাটা উচ্চবিত্তদের মধ্যেই বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তরুণরা তাদের টি-শাটে নানারকম স্লোগান ও কার্টুনের ব্যবহার করে থাকেন। অ্যাংরি বার্ডস, অ্যাভেঞ্জারস, সুপারম্যান, টিনটিন- এমন সব চরিত্রের মোটিফ ব্যবহৃত হয়েছে তাদের টি-শার্টে। উজ্জ্বল অনেক রং দেখা যায় সেখানে। বড় বড় অক্ষরে লেখা স্লোগানও দেখা যায়।
ক্যামেরা আর মিডিয়া তরুণদের বেশ আকৃষ্ট করে। মিডিয়াতে তো এখন অনেক তরুণ-তরুণী কাজ করছে। ছবি তোলার নেশাতেই অনেকে বেরিয়ে পড়েন শখের ক্যামেরাটি গলায় ঝুলিয়ে। দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গার ছবিগুলো তোলার পরই শোভা পেয়ে থাকে ফেসবুকে। তরুণদের মধ্যেই ছবি তোলার প্রতি আগ্রহটি বেশি দেখা যায়।
ফ্যাশন আর তারুণ্য যেন একসূত্রে গাঁথা। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের যে বয়সকেন্দ্রিক আগ্রহ, সেটাই এই যোগসূত্র তৈরি করেছে। বর্তমানে তরুণীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে কুর্তা-লেগিংস। এক সময় যেমন কম বয়সী মেয়েদের ব্যাপকভাবে পরতে দেখা গেছে জিন্স-ফতুয়া, সে জায়গাটাই গত বছর দখল করে নিয়েছে কুর্তা-লেগিংস। ওড়নাসহ বা ওড়না ছাড়া টপের মতো করে কুর্তা পরতে দেখা গেছে। এক সময় শুধু কালো রংয়ের লেগিংস দেখা গেলেও এখন সবুজ, বেগুনি, লাল, মেরুন দিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তুলছেন তারা। এটা করা হচ্ছে কুর্তা-লেগিংস দিয়েই।
তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জীবনযাপনে ভিন্নধর্মী খাবারের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই বেশি থাকে। নানা সময়ে তরুণ-তরুণীরা পুরান ঢাকার বিভিন্ন নামকরা খাবারের দোকানে খেতে চলে যান। বলা যায়, এক ধরনের পার্টি দিতেই এ যাত্রা। চীনা খাবার, পিৎজা, পাস্তা, বিরিয়ানি খাবারের বাইরেও সি-ফুডের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আকর্ষণ বেড়েছে। নতুন খাবারের দোকানের সন্ধান পেলেই কিশোর ও তরুণরা ছুটে যান সেখানটায়। ঢাকার কিছু কিছু জায়গায় খাবারের ভিন্নধর্মী দোকান হয়েছে। এখানে স্যান্ডউইচ, বার্গার ছাড়া হালকা স্ন্যাকস, কফি, বিভিন্ন ফলের জুস পাওয়া যায়। দোকানের ভেতরে বসার খুব একটা ব্যবস্থা নেই। ফরমাশ করে বাইরে দাঁড়িয়ে বা বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা চলতে থাকে, সঙ্গে চলে জম্পেশ খাওয়া-দাওয়া।
গরমের সময় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাটিক ও টাইডাই করা কাপড়। টপ, ফতুয়া বা কামিজ তৈরি হয়েছে এমন কাপড় দিয়ে। ওড়না, ব্লাউজেও দেখা গেছে বাটিকের ব্যবহার। রং আর নকশার বৈচিত্র্য বেশ দেখা যাচ্ছে বাটিকে। প্রাকৃতিক রংয়ের ব্যবহারে তৈরি শাড়িও বেশ দেখা যাচ্ছে। তরুণীরা সাজাচ্ছেন নিজেদের আপন কল্পনায়।
তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ট্রেন্ড বোধহয় নখের নকশা বা নেইল আর্ট। এক সময় শুধু কম বয়সী মেয়েদের নেইল আর্ট করতে দেখা গেলেও এ বছর প্রায় সব বয়সী নারীই ঝুঁকেছেন এদিকে। তবে তরুণীদের ঝোঁকটা বেশি। নানারকম বিন্দু, পাথর, রেখার নকশা যেমন চলে, তেমনি নানা উজ্জ্বল রংও ব্যবহৃত হয় নখে। একই রংয়ের নানা শেডে একেকটি নখ রাঙাতে দেখা যায়। আবার নানারকম নিয়ন রংয়েও নখ রাঙিয়েছেন অনেকে। বাজারে নখপলিশও পাওয়া যায় নানা ধরনের।