বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি মাংস খেলে যা হয়

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ মার্চ ২০২১, ২০:৫৩

মাংসের ঝোল যে কারও কাছে প্রিয়। আমরা বাঙালি যে কোনও খাবারে মাংস খুঁজি। মাংসই তো খাবারে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। উৎসব আমেজ মানেই পিঠা-পায়েস আর মাংসের ঝোল। মাংসের ঝোল দেখে তো কেউ কেউ লোভই সামলাতে পারেন না। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া একদমই ঠিক নয়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগ হওয়ার শঙ্কা থাকে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণায় জানানো হয়েছে রেড মিট অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু গবেষণায় জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি সপ্তাহে তিন দিন হাঁস-মুরগির মাংস বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খান তাহলে নয়টি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা গেছে যারা সপ্তাহে তিন বা ততোধিক বার মাংস খেয়ে থাকেন তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অন্যান্য মানুষের থেকে তুলনামূলক বেশি।

এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য বিভাগের নফফিল্ড বিভাগের চিকিৎসক ক্যারেন পেপিয়ারের মতে, একজন ব্যক্তির দিনে ৭০০ গ্রাম অপরিশোধিত লাল মাংস বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ বেশি থাকে। একইভাবে যারা দিনে ৩০ গ্রাম হাঁস-মুরগির মাংস খায় তাদের ডায়বেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ এবং গ্যাস্ট্রোফেজিয়াল রিফ্লেক্সের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ।

মাংসতে কেন ঝুঁকি বেশি : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, লাল মাংস বা রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা কিনা দেহে ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। একইভাবে খারাপ কোলেস্টেরলও বৃদ্ধি করে। নিয়মিত মাংস খাওয়ার ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কোলন পলিপ, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স, ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ, গ্যাস্ট্রিক, পিত্তথলি রোগ এবং ডিউডেনাইটিসের মতো ভয়াবহ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সূত্র: হেলথ লাইন ও ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে