সুস্বাদু পাহাড়ি খাবার বাঁশ কোড়ল

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৯

যাযাদি ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রিয় একটি খাবার বাঁশ কোড়ল। ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের খুবই প্রিয় একটি খাবার বাঁশ কোড়ল। পর্যটকদের কাছে, এমনকি ঢাকাতেও দিন দিন সবজি ও বিভিন্ন খাবারের উপকরণ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পর্যটকদের চাহিদার কারণে বাড়ির রান্নাঘরের গণ্ডি ছাড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর মেনুতে জায়গা করে নিয়েছে বাঁশ কোড়ল। 

মূলত বাঁশের গোঁড়ায় কচি নরম অংশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। চাকমা ভাষায় বাঁশ কোড়লকে বলা হয় বাচ্ছুরি, মারমা ভাষায় মেহ্যাং, ত্রিপুরা ভাষায় মেওয়া।

পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়। তবে সব ধরনের বাঁশের কোড়ল খাওয়া যায় না। যেগুলো খাওয়া যায় তার মধ্যে মুলি বাঁশ, ডলু বাঁশ, মিতিঙ্গ্যা বাঁশ, ফারুয়া বাঁশ, বাজ্জে বাশঁ, কালিছুরি বাঁশসহ বেশ কয়েক প্রজাতির বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ কোড়লের স্বাদে রয়েছে ভিন্নতা। সবজি হিসেবে ভাজি, মাংস দিয়ে রান্নাসহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।

বর্তমানে বাঁশ কোড়ল পাহাড়িদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছেও জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্টে তো পাওয়া যায়ই, ঢাকায় পাহাড়ি রেস্টুরেন্টগুলোতেও বাঁশ কোড়লে তৈরি সুস্বাদু বিভিন্ন খাবার খেতে আসেন নানা এলাকার মানুষ।

বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত এই বাঁশ কোড়লের ভরা মৌসুম থাকে। এ সময় পাহাড়ের হাটবাজারগুলোতে প্রচুর বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়। মাটি থেকে ৪-৫ ইঞ্চি গজিয়ে উঠলে এটি খাওয়ার উপযোগী হয়। বাঁশে পরিণত হওয়ার আগে স্থানীয়রা বাঁশ গাছের গোড়া থেকে কচি অংশ সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন।

কোঁড়ল দিয়ে বানানো ত্রিপুরাদের রেসিপি

মুইয়া চাখুই

উপকরণ: খাবার সোডা ১ চা-চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, ঠান্ডা পানি ৩ গ্লাস (প্রয়োজনে আরও বেশি), বাঁশকোঁড়ল ১ কেজি, শিমের বিচি ৫০ গ্রাম, বরবটি ৩-৪টি, মটরশুঁটি ৫০ গ্রাম, বুটের ডাল ৫০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, লেবুপাতা ৩-৪টি, মরিচবাটা বা আস্ত ১৫/২০টি, চালের গুঁড়া ৫০ গ্রাম (চাল ভিজিয়ে গুঁড়া করে রাখুন), ধনেপাতা পরিমাণমতো।

প্রণালি: খাবারের সোডা পানিতে মিশিয়ে চুলায় দিন। তারপর বাঁশকোঁড়ল, শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বুটের ডাল, বরবটি, লবণ, লেবুপাতা, মরিচ (বাটা বা আস্ত) একসঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। নরম হয়ে এলে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে ধনেপাতা দিন। হয়ে গেলো মজাদার মুইয়া চাখুই