বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ৫ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা, অকূলে শ্রমিকরা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৩৫

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে রফতানি আদেশ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে আশুলিয়ার তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কারখানা স্থায়ীভাবে এবং দুটিতে লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক।

আশুলিয়ার সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেড, ন্যাচারাল সোয়েটার ও পূর্বা সোয়েটার এই তিনটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর মাজগড়া এলাকার মদিনা অ্যাপারেলস কারখানাটি দেড় মাস ও ওই এলাকার নিউ আইডিএস সোয়েটার কারখানটি একটি সেকশন অনির্দিষ্টকালের জন্য লে-অফ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাকশিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনার কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটা সত্যি। তবে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াটাও অশনিসংকেত। শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে কারখানা বন্ধ না করে ক্রয়াদেশ বাড়ানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কারখানা বন্ধ করে দেয়া কোনও সমাধান হতে পারে না।’

স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া আশুলিয়ার সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেডের নোটিশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ শত চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত কাজ সংগ্রহ করতে পারেনি। ক্রমাগত ক্রয়াদেশ কমার ফলে কাজ বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমেছে। ফলে কারখানা ক্রমাগত আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি দিন দিন ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর থেকে কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনানুগ যাবতীয় সুবিধা আগামী ৭ ডিসেম্বর পরিশোধ করা হবে।’

একই ধরনের বার্তা দিয়ে উল্লিখিত দুটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ও অপর দুটি লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে লে-অফ ঘোষিত কারখানার শ্রমিকরাও শ্রম আইন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।

শ্রম আইন অনুযায়ী, কারখানায় কাজ না থাকলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণা করতে পারে। এ সময়কালে কারখানায় এক বছর ধরে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন।

এদিকে করোনার কারণে বন্ধ ও লেফ অফ ঘোষিত কারখানার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের কাছে কিছু ক্রয়াদেশ স্থগিত আছে। সেসব স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হলেই কারখানা আবার সচল হবে।

তবে পোশাক শ্রমিকদের দাবি, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে কারখানাগুলো চালু রাখা সম্ভব ছিল। তাদের সুনজর দেয়া উচিত ছিল। এভাবে শ্রমিকদের বেকারত্বের দিকে ঠেলে দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে।

যাযাদি/এমএস/১:১৪পিএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে