মুজিববর্ষের বিজয়ের মাস উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ। সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেছেন, ‘দোলাইরপারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তো হবেই, একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলায় তাঁর ভাস্কর্য করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. আওলাদ হোসেন এ কথা বলেন। এ সময় সংগঠনটির ১৯৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ড. আওলাদ বলেন, ‘ভাস্কর্য এবং মূর্তির মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য আছে। ভাস্কর্য সুন্দরের আর মূর্তি চেতনার প্রতীক। যেসব ভাস্কর্য সৌন্দর্যচর্চা ও ঐতিহাসিক কোনো ঘটনার স্মৃতিফলক হিসেবে স্থাপিত হয় তা ইসলামী শিক্ষানুযায়ী নিষিদ্ধ নয়। পৃথিবীর সব দেশেই জাতির পিতা, জাতীয় নেতা ও জাতীয় তারকাদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাঁদের সম্মানের জন্য, পূজার জন্য নয়। এসব ভাস্কর্য জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, তাঁদের বীরত্বকে মনে করিয়ে দেয়, যা মোটেও দোষের নয়।’
আওলাদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারা দেশে জিয়াউর রহমানের অসংখ্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন মামুনুল হক সাহেবরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। উনারা যখন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তখন জিয়ার ভাস্কর্য নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি। অথচ তাঁরা আজকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে শ্যামপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শামসুজ্জামান বাবুল, কদমতলী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম মাস্টার ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত মুফতি উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এসএইচ
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd