স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে এদেশের মানুষকে করোনার টিকা দিতে চাচ্ছেন। এতটুকু আমি বলতে পারি কোনো প্রাইভেট সেক্টর বা কোম্পানি সরকারের টিকা দেওয়ার আগে টিকা প্রদানের কাজ শুরু করতে পারবে না। কে, কীভাবে, কখন টিকা প্রদান শুরু করবে, প্রাইভেট সেক্টর কি সুযোগ পাবে তা সরকার শর্ত দিয়ে নির্ধারণ করে দেবে। কারণ এটা এমন নয় যে ডিস্পেন্সারিতে পাওয়া যাবে, তাহলে এটা দেশের মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে। এ বিষয়টি পুরোটাই সরকার যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। এখানে মানুষের জীবন নিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছে তা করবে, এটা সরকার কখনই হতে দেবে না।’

শনিবার দুপুরে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা জানান। এসব হাসপাতালের পরিচালক মো. হাফিজ উদ্দিন, কলেজ অধ্যক্ষ মো. আসাদ হোসেন, গাজীপুরের জেলাপ্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, হাসপাতালের উপ-পরিচালক তপন কান্তি সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্কুলছাত্রকে পেটানোর ঘটনা / উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মতে করোনাভ্যাকসিন ট্রায়ালের পর দেশে এলেও আমাদের দেশের বিশষজ্ঞ টিম যদি সন্তুষ্ট হন তখনই ওই টিকা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগোব। এটার কতগুলো পর্যায় আছে। এটা হঠাৎ করে আসবে আর অনুমোদন দেব এরকম নয়। টিকা নিয়ে যারা মাঠে কাজ করবে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের ইনসেন্টিভ দেওয়ার জন্য বলেছি। তাদেরকে যারা ট্রেনিং দেবেন তাদেরকেও আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। এ ব্যাপারে পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো, এটা সবাই জানে। আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা অনেকের চেয়ে বেশি। আর এটা সুসম্পন্ন করার ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। সারাদেশে এটা আমরা শুরু করতে পারব এবং যথাযথভাবে সম্পন্ন করতেও পারব। মোবাইলেই এ ব্যাপারে সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়েই আমরা সরবকিছু করব। কারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হবেন এটাও তারা মোবাইলের ম্যাসেজে পাবেন। এ ব্যবস্থা আমরা ইতোমধ্যে করেছি এবং কাজটা শেষের দিকে।’

এর আগে হাসপাতালের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নামে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

যাযাদি/এস