বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ভাসানচরে নোয়াখালীর দশম থানা উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

‘ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে’

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ২১:০০
আপডেট  : ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৩২

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি রোহিঙ্গারা প্রথমে ভুল বুঝেছিল যে ভাসানচরে তাদের নানান ধরনের অসুবিধা হবে। কিন্তু এখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সেই অসুবিধা হয়নি। এখানে তারা যে শান্তিপূর্ণভাবে এবং কমফোরটেবল ফিল করছে। এখন তারা দলে দলে আসা শুরু করবে বলে আমরা আশা করছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সুরক্ষার জন্য এই শেল্টারগুলো তৈরি করেছেন। তারা যেন ভালোভাবে থাকতে পারেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থানা উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে এটা একটা সমৃদ্ধময় এলাকা হবে। রোহিঙ্গারা আজকে এখানে আছে, হয়তো কিছুদিন পর তারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাবে। কিন্তু ভাসানচর থাকবে। ভাসানচরের নিরাপত্তার জন্য- ভাসানচর যে ভবিষ্যতে একটা সম্ভাবনাময় জায়গা হবে সেসব দিক বিবেচনা করে এই থানা করা হলো। আমরা এই থানাকে আরও শক্তিশালী করব। এখানে আরও জনবলসহ যা যা প্রয়োজন আমরা করব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ও ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-০৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। এ সময় হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোরশেদ লিটনসহ সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এখন থেকে ভাসানচর নোয়াখালীর দশম এবং হাতিয়া উপজেলার দ্বিতীয় থানা হলো।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি দ্বীপ ভাসানচর। হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে এ থানা গঠিত। এ দ্বীপের আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গকিলিামিটার। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬ কিলোমিটার। ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এ বসবাসকারী মিয়ানমার হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাসহ অন্যদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য ১ জন পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), ২ জন এসআই (নি.), ৪ জন এএসআই (নি.) ও ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে ভাসানচর থানার কার্যক্রম শুরু হলো।

ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনায় তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এ থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভায় ভাসানচর থানা স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাসানচর থানার জন্য ২৪টি পদ অনুমোদন করে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে