শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকাতি ছিনতাই ও চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ৩৪

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৩০

রাজধানীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ অপু (২৩), মো: রজব আলি (৪০), মোঃ রাসেল ওরফে রুবেল (২৮), মোঃ ইউনুস আলী (৪০), মো: সাইফুল ইসলাম (২৮), মুরাদ শিকদার (২৩), মো: নয়ন (৩০), মোঃ পারভেজ (৩০), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৮), রাকিব হাসান ওরফে কনক (২৬), মোঃ ইব্রাহিম (২৩), মোঃ আমির হোসেন (২২), মোঃ মাইনুদ্দিন ওরফে কালু (১৯), মোঃ রনি (২০), মোঃ রুবেল হাসান (২০), মোঃ সাব্বির হোসেন (১৯), মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৩), মোঃ অন্তর মিয়া (১৯), মামুন হোসেন (২০), মোঃ ওয়াজিব হোসেন (১৯), আসামি শাওন (২২), শাকিল ওরফে লাদেন (২৪), রবিন (২৩), হাবিবুর রহমান (২৭), নুর আলম বাবু ওরফে পিচ্চি বাবু (২৫), রমজান (২৪), মোঃ রুবেল হাওলাদার (২৭), মোঃ শাহিন (২১), মোঃ নয়ন মিয়া (২৮), মোঃ সোহেল খান (২৫), মোঃ বাদল বিশ্বাস (২৬), আহাম্মদ আলী মাতব্বর ওরফে পিচ্চি (৩৫), মোঃ আলমগীর (২৭) ও মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩০)।

অভিযানকালে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত চাপাতি, চাকু, ছোরা, হাইড্রোলিক কাটার, তালা ভাঙ্গার রড, হাতুরি, প্লাস, স্ক্র ড্রাইভার, হেসকো ব্লেড, গ্রিল ও তালা কাটারসহ বিভন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শীতকাল আসলে দোকান, বাসাবাড়ি ও মার্কেটে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যায়। এটা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ডিবির ৩২টি টিম একযোগে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, সকলে সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে কারো বাসায় নতুন দারোয়ান বা মালি নিয়োগ দিলে, তা যেন নিকটবর্তী থানাকে অবগত করা হয়। তাহলে বাসা-বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলো কমে আসবে। অথবা চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটলে তাদেরকে সহজেই গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। বিশেষ করে গ্রীল কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে চোরেরা বাসার কিচেন ও বাথরুমের পিছনের অংশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকে। এ বিষগুলো খেয়াল রাখতে হবে। যারা আর্থিকভাবে সামর্থবান তারা বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারেন। জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এরপরও যদি এমন ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে পুলিশকে অবগত করুন। যে কোন ঘটনা নিয়েন্ত্রণে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে