​সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর দখলে থাকা ৫০ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২১:১১

অনলাইন ডেস্ক

 

আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দখলে থাকা ৬৬ শতাংশ জমি উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন। রোববার(২৪ জানুয়ারি) সকালে শহরের জেলা সদর সড়কের আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি উদ্ধার করা হয়।

 

জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে ওই জমির উপর নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে এটা ‘ক’ তালিকাভুক্ত সরকারি সম্পত্তি বলে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খাইরু ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী সুফিয়া খাতুন জানান, সরকার পক্ষের রায়ের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল(নং-১২৮, তারিখ- ৯/১১/২০২০খ্রি.) দাখিল করা হয়েছে। আবেদনটি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বর জজ আমলে নিয়ে আগামি ২৯ আগস্ট শুনানীর দিন ধার্য করেছেন। শুনানীর আগে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কোন সুযোগ নেই।

 

ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী জানান, টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়া মৌজায় ২৪২ খতিয়ানের ৭৮৮ দাগে ৬৬ শতাংশ ‘ক’ তালিকভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দখলে রেখেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে উচ্চ আদালত লতিফ সিদ্দিকীর দলিল জাল বলে বাতিল করে সরকারের পক্ষে রায় দেন। পরে ওই জমির অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে।

 

লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিনী সাবেক এমপি বেগম লায়লা সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিভিন্ন দলীয় সরকার ক্ষমতায় ছিল। কেউ আমাদের উচ্ছেদ করেনি। তিনি বলেন, আপিল বিভাগে বিষয়টি নিয়ে শুনানীর জন্য রয়েছে। এমতাবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো যায় এ বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।

 

 

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, জাল-জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছিল। অবৈধ দখল উচ্ছেদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। গত ৬ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি দখলমুক্ত করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। এ ধরণের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

 

প্রকাশ, ১৯৭২ সালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত ওই জমি ইজারা নেন। পরবর্তীতে তিনি জমিটির মালিকানা দাবি করেন। ২০০৮ সালে তিনি জমিটির উপর একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। মার্কেটটি নির্মাণ হলেও চালু ছিল না।

 

 

যাযাদি/এস